দেশে চারকোল প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ) নির্বাচন আগামী ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নিতে গঠিত ‘চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদ’ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, সভাপতি প্রার্থী আতিকুর রহমান, এসোসিয়েট সদস্য প্রার্থী সাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি প্রার্থী আতিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে চারকোল শিল্প রক্ষা এবং সংস্কার ও উন্নয়ন—এই দুটি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল ফ্যাক্টরির পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। ফায়ার লাইসেন্স, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পাট অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। সহজে ও সুলভে কাঁচামাল প্রাপ্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন শিপিং লাইন খোলার মাধ্যমে চারকোল রপ্তানি সহজতর করা হবে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সহায়তায় চারকোলের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আতিকুর রহমান বলেন, চারকোল শিল্প ইতোমধ্যে ১২ বছর অতিক্রম করেছে। এটি টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি সকল কারখানাকে পর্যায়ক্রমে কমপ্লায়েন্ট ফ্যাক্টরি হিসেবে গড়ে তোলা, চারকোলকে ক্ষুদ্র শিল্প থেকে মাঝারি শিল্পে উন্নীত করা, বিসিসিএমইএ-কে এফবিসিসিআই-এর অন্তর্ভুক্ত করা, চারকোল এসোসিয়েশনের একটি স্থায়ী অফিস স্থাপন, দক্ষ শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা এবং মূল্য সংযোজিত চারকোল পণ্য উৎপাদনের জন্য ‘বিসিসিএমইএ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার চারকোল রপ্তানি হয়েছে এবং এতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪৫টি চারকোল কারখানা রয়েছে, যার সম্মিলিত বিনিয়োগ শত কোটি টাকারও বেশি। বিসিসিএমইএ’র সদস্য সংখ্যা ৪৩ জন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সহসভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান জুলিয়াস ও হাবিব-এ-হাসান। এছাড়াও, পরিষদের প্রার্থী শাহরিয়ার ইবনে ইব্রাহিম, মোফাজ্জল হোসেন খোকন, মোহাম্মদ শামসুল আলম তালুকদার, আলমগীর কবির, সাহাদাত হোসেন উজ্জল, ফারহানা শারমীন কাকন, মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান, হোসাইন আহমেদ চৌধুরী, শামীম-উল-হকসহ সাধারণ সদস্যরা।