প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, আপনারা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।’
বুধবার (২৩ এপ্রিল, ২০২৫) রাতে “কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের সুযোগ” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসায়িকভাবে ফিরে এসেছে এবং বৃহৎ পরিসরে। আমরা আপনাদের অংশীদারিত্ব চাই।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং একটি নতুন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নরওয়েজিয়ান টেলিকম অপারেটর টেলিনর কীভাবে বাংলাদেশে একটি টেলিফোন কোম্পানি স্থাপনের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে টেলিনরের সবচেয়ে লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হয়, তার অনুপ্রেরণামূলক গল্প তিনি বর্ণনা করেন।
কাতারের বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি আজাদ আশরাফ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সম্ভাব্য কাতারি বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা করেন।
“আপনি যদি কখনও বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন, তাহলে এখনই সম্ভবত সেরা সময়,” তিনি বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান বলেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের ঋণ ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এখন ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এর মধ্যে কাতার এনার্জির কাছে ২৫৪ মিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল, যা বুধবারের মধ্যে শূন্যে নেমে এসেছে, তিনি বলেন।

তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা এবং উন্নত অবকাঠামোর জন্য সরকারের পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন।
কাতারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি আন্ডারসেক্রেটারি সালেহ মাজেদ আল খালাফি, নেক্সট স্মার্ট সলিউশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলী বেন ফারজ এবং অন্যান্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন।











