বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্থাপন করলো হারনেট ফাইন আর্টস, যা হারনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিশ্বদরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশেষ “আর্ট ডায়ালগ”-এর মাধ্যমে এই সাফল্য উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল আল মাজলিশ অ্যারাবিয়ান রেস্টুরেন্ট এবং ইয়েমেনের শিল্প সংস্থা, যা প্রতিষ্ঠা করেছেন আব্দুল আজিজ আইশান এবং আহমেদ আলসাক্কাফ।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আর্ট ডাটা সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই ডিজিটাল আর্কাইভ দেশের বহুমুখী শিল্প ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং বিশ্বব্যাপী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে হারনেট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান বলেন, “এই উদ্যোগ বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের কাজ বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে সহায়ক হবে এবং আমাদের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সহায়তা করবে।” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হারনেট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির প্রধান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন: আবদুলমুতালিব এস এম সুলিমান, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত, আবুল হোসেন, বাংলাদেশে উগান্ডার কনসাল, অ্যান মেরি জর্জ, ভারতীয় দূতাবাসের সেক্রেটারি, মিশেল সুমসার, কেএফডব্লিউ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর, তালাত শাহানশাহ, পুলিশ কমিশনার।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী খ্যাতিমান শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন: আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ ইউনুস, বীরেন সোম, রঞ্জিত দাস, তরুণ ঘোষ, ফারিদা জামান, জিএম খলিলুর রহমান, রোকেয়া সুলতানা, নাইমা হক, নাসিম এ. নাদভি, মোহাম্মদ ইকবাল, সমর মজুমদার, মুনিরুজ্জামান, জহির উদ্দিন, সুনীল কুমার, রেজাউন নবী, রাশেদ হুদা, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, দিলরুবা লতিফ, সোহানা শহরীন, সুবর্ণা শামীম, সৌরভ চৌধুরী, শ্যামল সরকার, সঞ্জিত দাস অপু, লীতা ইউনুস, মনিদীপা দাস, এ ধালি তোমাল, সুলতান ইশতিয়াক, গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি, তেজোশ এইচ. জোশ এবং আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল আর্ট ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন। পরে নেটওয়ার্কিং ডিনারের মাধ্যমে অতিথিরা একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যৎ শিল্প সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। অতিথিরা ইয়েমেনি খাবারের স্বাদ উপভোগ করেন, যা আল মাজলিশ ইয়েমেনি রেস্টুরেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে পরিবেশিত হয়।
সন্ধ্যার সমাপ্তি ঘটে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হোসাইন আরিফের সুরের মূর্ছনায়।