রাজধানীর হোটেল শেরাটনে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর, ২০২৫) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (SABCCI)। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেম্বারের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ব্যবসায়ী সংগঠন, কূটনৈতিক মিশন ও বিভিন্ন খাতের দুই শতাধিক বিশিষ্ট প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক কেবল ধর্মীয় বা মানবিক বন্ধনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এক দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব। এসএবিসিসিআই সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
তিনি সৌদি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বন্দর, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেন।

চেম্বারের সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর এসে আমরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চেম্বারের জন্ম প্রত্যক্ষ করছি। এটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তবুও এই সূচনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হোক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাক।”

অনুষ্ঠানে সৌদি আরব থেকে আগত ২০ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়, যার নেতৃত্ব দেন মাজদ আল উমরান গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ ওমর আব্দুলহাফিজ আমিরবক। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আল ইসায়ি গ্রুপের পরিচালক নাজি আব্দুল্লাহ, বাদশাহ আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইটি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আসিফ সালাম, এবং আল তৈয়বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ আল হারবি।
উদ্বোধনী পর্বের পর অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়, যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীকী প্রকাশ ঘটায়।
এসএবিসিসিআই-এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত অতিথিরা।











