October 25, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • ডিকার্বনাইজেশন ও সার্কুলার ইকোনমি নিয়ে বিজিএমইএ এর সাথে আলোচনা করলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি প্রতিনিধি দল

ডিকার্বনাইজেশন ও সার্কুলার ইকোনমি নিয়ে বিজিএমইএ এর সাথে আলোচনা করলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি প্রতিনিধি দল

Image

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশন (ইআরডি)-এর একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সবুজ উৎপাদন (Green Manufacturing) অগ্রগতি এবং আসন্ন COP30 জলবায়ু সম্মেলন (নভেম্বর ২০২৫, বেলেম, ব্রাজিল) উপলক্ষে প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রধান চালিকা শক্তি তৈরি পোশাক (RMG) শিল্পের ডিকার্বনাইজেশন রোডম্যাপ এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সবুজ ভবন (Green Building) নেতৃত্বের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের ২৬৩টি কারখানা LEED সার্টিফায়েড, যা বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক শীর্ষ রেটেড সবুজ পোশাক কারখানার রেকর্ড স্থাপন করেছে।

বৈঠকে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি বিদিয়া আমৃত খান বলেন, “আসন্ন COP30-এর বৈশ্বিক জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উদ্যোগগুলোকে সমন্বয় করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত ডিকার্বনাইজেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন এবং সার্কুলার অর্থনীতির দিকে শিল্পের রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (GCF) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (GTF)-এর মতো আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা গেলে, এই খাতের লো-কার্বন ট্রানজিশন আরও গতি পাবে। একইসঙ্গে এটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে উদ্ভাবন, নতুন বাজার প্রবেশ এবং স্থিতিশীলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়তা করবে।”

বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বিজিএমইএ’র ভূমিকা প্রশংসা করেন এবং সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্বে জলবায়ু অভিযোজন ও টেকসই শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করেন।

Scroll to Top