ঢাকায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস রবিবার (১৭ আগস্ট ২০২৫) “বেরসাতু, বেরদাউলাত, রাকইয়াত সেজাহতেরা, ইন্দোনেশিয়া মাজু” বা “ঐক্যবদ্ধ, সার্বভৌম, সমৃদ্ধ জনগণ, উন্নত ইন্দোনেশিয়া” প্রতিপাদ্য নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।

অনুষ্ঠানের সূচনা হয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. আরিফ সুয়োকো। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থানরত ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ও প্রবাসী, পাইলট ও এয়ার ক্রু-সহ বাংলাদেশে কর্মরত ইন্দোনেশিয়ান প্রবাসী, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের সদস্যরা।

আবহাওয়াজনিত কারণে সকালবেলায় দূতাবাসের সামনের মাঠে পরিকল্পিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানটি ভেতরে স্থানান্তরিত করা হলেও বিকেলে পাসুকান পেঙ্গিবার বেনদেরা (পাস্কিব্রা) বা পতাকা উত্তোলন দলের মাধ্যমে যথাযথভাবে পতাকা উত্তোলন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে কেরুক তুমপেং শোভাযাত্রা ও কেক কেটে স্বাধীনতার ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাজার অনুষ্ঠিত হয়। বাজারে ১০টি স্টলে ইন্দোনেশিয়ান প্রবাসীরা বিভিন্ন খাবার, পানীয় ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের দার্মাসিসওয়া স্কলারশিপ প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থী আতিয়া আঞ্জুম আনিকা ইন্দোনেশিয়াকে কেন্দ্র করে তার আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল “পাঙ্গুং গেম্বিরা” নামের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে ইন্দোনেশিয়ান কমিউনিটি নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অতিথিদের আনন্দ দেন। এই পর্বে প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের জন্য বিশেষ প্রতিযোগিতা ও কুইজের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে প্রচুর পুরস্কার ও ডোর প্রাইজ প্রদান করায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।

এই অনুষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ও প্রবাসীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ, ঐক্য এবং সৌহার্দ্যের চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করেছে, যা একটি উন্নত ইন্দোনেশিয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।











