বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, গত বছরের ২৮ জুলাই আন্দোলনরত ছাত্রদের আন্দোলন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে একটি অধ্যায় শেষ হলেও, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের জনগণ রাজপথে থেকে শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করে তা সফল করেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) গুলশানের একটি হলরুমে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কাইয়ুম বলেন, “গত বছরের এই দিনে ছাত্রনেতারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বসে। কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ তাদের আহ্বান শোনেনি, বরং বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করে। এটাই ছিল শেখ হাসিনার পতনের সূচনার মুহূর্ত।”
তিনি দাবি করেন, “আমাদের নির্বাচনী এলাকা বাড্ডাতেই এই আন্দোলনে ৩১ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না। আমরা তাদের পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতেও যাব।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. কাইয়ুম বলেন, “নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে কাজ করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখুন, কিন্তু সাধারণ মানুষের ওপর অন্যায়-অবিচার করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে, দেশে একটি স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”
মাদক, দখল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী দোসরদের পাতানো ফাঁদে পা দেবেন না। সতর্ক থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এ জি এম শামছুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর চেয়ারম্যান, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, সোহেল ভূঁইয়া ও ভিপি শাহীন।