August 12, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • সিপিডি সংলাপে সরকারের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরলেন শ্রম উপদেষ্টা

সিপিডি সংলাপে সরকারের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরলেন শ্রম উপদেষ্টা

Image

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরে বলেছেন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা অকল্পনীয়।

এক মাসে ছাত্র-জনতা যেভাবে জীবন দিয়েছে, তা অবর্ণনীয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে আমরা একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি, যাতে নির্বাচিত সরকার এসে কাজ করতে পারে। উন্নয়ন শুধু মেট্রোরেল বা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ না করলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

রবিবার (১০ আগস্ট, ২০২৫) বনানীর লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পলাতক মালিকদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা এবং আর্থিক খাত সংস্কার করা। এক বছরে সংস্কার সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তা শুরু করেছি।’

গভর্নর জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যাতে ঋণ সুবিধা বজায় থাকে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে এবং ৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, বিটিএমইএ ও বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দ, শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Scroll to Top