জাতীয় খাদ্যনীতি ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার CIRDAP অডিটোরিয়াম-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। জাতীয় পুষ্টি সেবা (NNS) এবং ফুড পলিসি মনিটরিং ইউনিট (FPMU)-এর নেতৃত্বে তৈরি এই নতুন নির্দেশিকা ক্লিনিশিয়ান, পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ানদের জন্য প্রযোজ্য এবং দেশের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্ষেত্রে টেকসই উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রথমবার জাতীয় খাদ্যনীতি ২০০০ সালে চালু করেছিল এবং পরবর্তীতে ২০১৩ ও ২০২০ সালে এটি আপডেট করা হয়। ২০২৫ সালের সংস্করণে সর্বাত্মক, খাদ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসৃত হয়েছে এবং এতে তিনটি বিভাগ রয়েছে: সাধারণ খাদ্য নির্দেশিকা, বয়সভিত্তিক খাদ্য নির্দেশিকা এবং রোগভিত্তিক খাদ্য নির্দেশিকা।
বিতরণ অনুষ্ঠানটি NNS আয়োজিত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইদুর রহমান, সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় (MoHFW)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন WHO, FAO, BIRDEM, FPMU ও DGHS-এর প্রতিনিধিরা।

সচিব মোঃ সাইদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বহু-ক্ষেত্রভিত্তিক (multisectoral) পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং খাদ্যনীতি প্রণয়নে WHO, FAO ও অন্যান্য সহযোগীদের প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রশংসা করেন। ডঃ রাজেশ নারওয়াল, ডেপুটি WHO প্রতিনিধি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে নীতি প্রণয়নের সঙ্গে নির্দেশিকাগুলো সমন্বয় করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এবং বাস্তবায়নে WHO-এর অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
জাতীয় খাদ্যনীতি ২০২৫-এর বিতরণ অনুষ্ঠান দেশের জনস্বাস্থ্য নীতি শক্তিশালীকরণ, সুস্থ খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।











