বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আরও সহজ, স্বচ্ছ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে।

বিডার মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. আশিক চৌধুরী। কর্মশালাটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) এবং TEPP-II প্রকল্পের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতির বক্ত্যবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ” ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করে চলছি । আমরা চাই, বিদেশী যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে বা কাজ করতে আসেন, তারা যাতে সহজ ও বন্ধুসুলভ হ্যাসেলফ্রি ইনভেস্টমেনট পরিবেশ পান। ইতোমধ্যে আমরা বিদেশীদের কর্মানুমতির একটি বড় অংশ ডিজিটাল করেছি, যেখানে বিডার অনুমতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে আমরা অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগকারীরা যেন সব সংস্থায় একই ধরনের অভিজ্ঞতা পান, তা নিশ্চিত করা জরুরি। তাই বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কোনো অযৌক্তিক ব্যবধান থাকা চলবে না।”
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদপ্তর এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বিডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে মাধ্যেমে আমরা বিদেশী কর্মীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইনে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবাগুলোর ডিজিটালীকরণে কাজ চলছে।”
কর্মশালায় বিডার পরিচালক (আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন উইং) মো. আরিফুল হক বলেন,
“মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি নিয়মিতভাবে আমাদের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ জানান, তবে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো আরও কার্যকর হবে এবং বিনিয়োগ সেবার মান উন্নত হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিডা কর্তৃক প্রদত্ত নতুন কর্মসংস্থান অনুমতির সঙ্গে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মীরা এখন বিডার One Stop Service (OSS) পোর্টাল (https://bidaquickserv.org/) ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন। সমস্ত তথ্য ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার ২১ কর্মদিবসের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি না ওঠে, তবে ছাড়পত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদিত হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আবেদন না করলে, ওয়ার্ক পারমিট বাতিল বলে গণ্য হবে। বিডা নিয়মিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ ও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।











