মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী, ২০২৫) বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওথমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এসকে বশির উদ্দিনের সাথে দেখা করে আমাদের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করে।
মূল আলোচনার মধ্যে রয়েছে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা যা ২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে উভয় দেশকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত করতে পারে। বর্তমান বাণিজ্য পরিস্থিতি, যা মালয়েশিয়ার পক্ষে একটি বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দেখায়, তাও আলোচনা করা হয়েছিল, যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৯৩ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে এবং ২.৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি করেছে।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার জন্য আমদানি সুযোগ চিহ্নিত করার জন্য জনগণের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং বাজার গবেষণা পরিচালনার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বিএমসিসিআই ক্রমবর্ধমান হালাল বাজারকে কাজে লাগানোর উপরও জোর দিয়েছে, যা ২০৩১ সালের মধ্যে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং বাংলাদেশের হালাল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য জাকিমের মতো মালয়েশিয়ান সার্টিফিকেশন সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার উপরও জোর দিয়েছে।
এছাড়াও, বিএমসিসিআই আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা এবং বাংলাদেশী রপ্তানি বৃদ্ধিতে মালয়েশিয়ার কৌশলগত অবস্থানকে পুঁজি করা লক্ষ্য রাখে। প্রতিনিধিদল দক্ষ প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেছে।
মাননীয় উপদেষ্টা এইচ.ই. এস. বশির উদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং এই সুযোগগুলি বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিএমসিসিআই সভাপতি জনাব শাব্বির এ খান, সহ-সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম, মহাসচিব জনাব মো. মোতাহের হোশান খান, যুগ্ম মহাসচিব জনাব রুবাইয়াত আহসান, যুগ্ম মহাসচিব জনাব সিফাত আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক জনাব মাহমুদুর রশিদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।