নেপালি মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (NMSA-BD) এ ঐতিহাসিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের মুহূর্ত উদযাপিত হয়েছে। এক আবেগঘন ও স্মরণীয় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. নবীন যাদব আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করে নতুন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেন। শুরু থেকেই দূরদৃষ্টি ও নিষ্ঠার সঙ্গে সংগঠন পরিচালনা করে তিনি বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, “নেতৃত্ব কেবল একটি পদ নয় — এটি একটি আস্থা। আজ আমি সেই আস্থা আগামী দিনের পরিবর্তনসাধকদের হাতে তুলে দিচ্ছি। নারীদের নেতৃত্বে ক্ষমতায়নের যাত্রা এখন এক জীবন্ত উত্তরাধিকার।”

নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন শাদিক্ষা ভাট, সাধারণ সম্পাদক সিমরান ভাটরাই, যুগ্ম সম্পাদক অনুষ্কা অধিকারী এবং কোষাধ্যক্ষ নিহিত ভাটরাই। নতুন দলকে দিকনির্দেশনা দেবেন বোর্ড অব ডিরেক্টরস (BOD) — ডা. স্তুতি কার্কি, ডা. প্রজ্বল সিং রাজপুত, ডা. সারিনা পালিখে, ডা. সাগর পাণ্ডে, ডা. সমীক্ষা অধিকারী, অঞ্জল শর্মা ও ডা. নিরঞ্জন গুপ্ত।




অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসেস যোগনা বামজান। তিনি ডা. যাদবের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তার নিষ্ঠা ও অঙ্গীকার নেপালি শিক্ষার্থী সমাজকে একত্র করেছে। নতুন নেতৃত্বকে আন্তরিক অভিনন্দন ও সফল মেয়াদের জন্য শুভকামনা জানাই।”




এই উপলক্ষে আয়োজিত হয় প্রথম নেপালি ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫, যা বাংলাদেশে নেপালি স্বাদ ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। আয়োজনে সেরা বিক্রয় স্টল পুরস্কার জেতে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজের ডা. সারিনা পালিখের নেতৃত্বাধীন দল।
এটি ছিল শুধু নেতৃত্ব হস্তান্তর নয় — বরং আশা, স্বপ্ন ও দৃঢ় সংকল্পের হস্তান্তর। ডা. যাদবের গড়া শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন নেতারা এখন ঐক্য, পরিচয় ও উৎকর্ষের নতুন অধ্যায় রচনায় প্রস্তুত।