বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন মঙ্গলবার (২২ জুলাই, ২০২৫) ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), বাংলাদেশ-এ আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। কলেজের অ্যাক্টিং কমান্ড্যান্ট রিয়ার অ্যাডমিরাল এ কে এম জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা এবং বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা এই বক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সালটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ এটি চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন এমন একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে, যা সর্বজনীন, বিস্তৃত, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই—এই চারটি মূলনীতি ভিত্তিক।
তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “হেজেমনি, সম্প্রসারণ কিংবা প্রভাব বলয়ের ধারণা চীনের অভিধানে নেই।” চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে একটি ন্যায়সংগত ও শৃঙ্খলিত বহু-মেরু বিশ্ব এবং সকলের জন্য উপকারী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিকায়ন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ ও আস্থাভিত্তিক। তিনি বাংলাদেশের সব স্তরের সঙ্গে, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে, বিনিময় ও সহযোগিতা আরও জোরদারের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন, যাতে বাংলাদেশ উন্নয়নের আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
বক্তৃতার শেষে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত শ্রোতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), তথাকথিত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, ব্রিকস জোট এবং রোহিঙ্গা সংকট।