বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।”
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের বার্তা একটাই—আমাদের এখন গণতন্ত্রে ফিরে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের জন্য আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান সাহেব যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন সম্পূর্ণভাবেই এখানে আছে।”
বিএনপি মহাসচিব ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যান। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফিরলেও মির্জা ফখরুল দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একদিন পর দেশে ফেরেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘ অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। যারা গিয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।”
জাতিসংঘ সফর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সফরসঙ্গী হয়েছিলাম এবং আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।”
তিনি যোগ করেন, “এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই দিক থেকেও সফরটি অত্যন্ত সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।”
জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি অন্যান্য সভা সম্পর্কেও বিএনপি মহাসচিব বলেন, “নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে, আমরা মনে করি এটা বাংলাদেশের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে।”
নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে অবতরণের পর হেনস্তার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এসব ঘটনাকে খুব বড় করে দেখি না। এটা আওয়ামী লীগের একটা কালচার—এমন ঘটনা তৈরি করাই তাদের স্বভাব।”











