October 25, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • সারাদেশ
  • নার্সারী মালিকদের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরওপঞ্চগড়ে অবাধে চলছে ইউক্যালিপটাস চারাগাছ কেনা-বেচা

নার্সারী মালিকদের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরওপঞ্চগড়ে অবাধে চলছে ইউক্যালিপটাস চারাগাছ কেনা-বেচা

Image

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড়ে নার্সারী মালিকদের সরকারিভাবে ৫ লাখ ৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরও হাট-বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা অবাধে কেনা-বেচা চলছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা যায় জেলার পাঁচ উপজেলায় রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নার্সারীর সংখ্যা ৪০টি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে সকল নার্সারীর মালিক ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা উৎপাদন ও বিপন করত তাদেরকে সরকারিভাবে ৫ লাখ ৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো জেলার হাট-বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা অবাধে কেনা-বেচা চলছে।

এ বিষযে পঞ্চগড় জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মতিন বলেন, গত ১৫ মে/২০২৫ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গিকার পুরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির গাছের চারা রোপন, উত্তোলণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয় এবং উহার পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপন পূর্বক বনায়ন করতে বলা হয়। পরবর্তীতে কৃষিবিভাগের অধীন জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত নার্সারি মালিক এবং সাধারণ মানুষকে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এধরনের গাছ মাটির স্তর খুব তাড়াতাড়ি হ্রাস করে এবং বৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে জানানো হয়। সর্বশেষ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথভাবে চারা ধ্বংশ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নিদিষ্ট নার্সারী মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। তবে আমাদের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত কোন নার্সারী মালিক ভবিষ্যতে কেউ এসব চারা উৎপাদন বা বাজারজাত করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বন বিভাগের অধীনে যে সকল নার্সারী মালিক আছে তাদের তালিকা ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি কৃষিবিভাগের জানা নেই।

এবিষয়ে পঞ্চগড় জেলা সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) মঞ্জুরুল করিম (ভারপ্রাপ্ত), বলেন আমাদের অধীনে কোন ব্যক্তিমালিকানা নার্সারী নেই। বনবিভাগ কোন ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। তবে সরকারিভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা রোপন/বিপননে জনসাধারণকে নিরুসাহিত করা হয়।

Scroll to Top