October 25, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • আন্তর্জাতিক
  • ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হল

ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হল

Image

বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এর সচিবালয় তার ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদ আলম সিয়াম। অনুষ্ঠানে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যবসা, গণমাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি গত ১১ বছরে সচিবালয়ের কর্মকাণ্ড ও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পরামর্শ, সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সচিবালয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারকে সচিবালয়ের আয়োজক দেশ হিসেবে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম বিমসটেকের connectivity, trade, energy, security, climate change, health ও disaster managementসহ বিভিন্ন খাতে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিমসটেকের বর্তমান চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিমসটেক সচিবালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকল সদস্য দেশের সহযোগিতা কামনা করেন। বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন খাতের লিড কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে বিমসটেক ফ্রি ট্রেড এরিয়া (FTA) চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের নেপিডোতে অনুষ্ঠিত ৩য় শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সচিবালয় সদস্য দেশগুলোর গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে এবং শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই বে অব বেঙ্গল অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে।

বিমসটেকের সাত সদস্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সংগঠনের আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন, নীল অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, জ্বালানি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, মৎস্য ও পশুপালন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, পর্যটন, সংস্কৃতি, দারিদ্র্য বিমোচন, ভিসা সংক্রান্ত বিষয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সংযোগ বৃদ্ধি।

Scroll to Top