গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পশ্চিম তীরে কথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের লক্ষ্যে ইসরায়েলি সংসদ ‘কনেসেট’-এ গৃহীত খসড়া আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসরায়েল তার অবৈধ দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব, বিশেষ করে প্রস্তাব ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশেই, পূর্ব জেরুজালেমসহ, ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (ICJ) ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে— যার মধ্যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বেসামরিক জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মাধ্যমে ‘অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ নিষিদ্ধ করা অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ পুনরায় তার অটল সমর্থন ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারগুলোর প্রতি, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।











