March 14, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • জাতীয়
  • চিকিৎসার জন্য রোগীদের একটি দল চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে  

চিকিৎসার জন্য রোগীদের একটি দল চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে  

Image

উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভারতীয় ভিসা পেতে সমস্যার সম্মুখীন বাংলাদেশিদের বিকল্প চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য দ্বিপাক্ষিক চিকিৎসা সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল সোমবার (১০ মার্চ, ২০২৫) চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

১৪ জন রোগী, তাদের পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকসহ ৩১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (১০ মার্চ, ২০২৫) দুপুরে চায়না ইস্টার্ন এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।  

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বিমানবন্দরে রোগীসহ প্রতিনিধি দলটিকে বিদায় জানান।

সেখানে পৌঁছার পর রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা (চেক-আপ) করা হবে এবং নির্ধারিত হাসপাতালে তারা চিকিৎসা গ্রহণ করবে। সফরসঙ্গী ডাক্তার ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা, থাকার ব্যবস্থা ও ভ্রমণ সুবিধা মূল্যায়ন করবেন।

প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানানোর আগে বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসার জন্য চীন যাচ্ছেন এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি রোগীরা চীনে আরও সহজে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

চলতি বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, কুনমিংয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করব, যাতে বাংলাদেশি রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা যায়।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সফলভাবে এই মেডিকেল গ্রুপের যাত্রা দু’দেশের মধ্যে ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা সম্প্রসারণের একটি সুযোগ তৈরি করেছে।’

বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকরা উন্নত চিকিৎসা পেতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে চীন এ বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইয়াও বলেন, ‘প্রয়োজনকালের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধার্থে চীন সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় করেছে এবং চীনের হাসপাতালগুলোকে সেবা দিতে মনোনীত করেছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউনান প্রদেশের জোরালো সহায়তায়, চারটি শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতাল- ইউনান প্রদেশের ফার্স্ট পিপলস হাসপাতাল, কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটড হাসপাতাল, ইউনান ফুওয়াই কার্ডিওভাসকুলার হাসপাতাল এবং ইউনান ক্যান্সার হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। 

ইয়াও বলেন, এই হাসপাতালগুলোতে অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক দল ও উন্নত সরঞ্জাম রয়েছে, যা পেশাদার চিকিৎসা ব্যবস্থা, দক্ষতা সম্পন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন অভিজ্ঞ আতিথেয়তা দলের ব্যবস্থা করেছে যারা বাংলাদেশি রোগীদের পছন্দ অনুসারে উপযুক্ত থাকার ব্যবস্থা ও খাবার সরবরাহ করবে। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবা গ্রহণকালে দক্ষ বাংলা ও ইংরেজি দোভাষী পাওয়া যাবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা বিমান সংস্থাগুলো চিকিৎসার জন্য চীনে গমনকারী রোগীদের জন্য সস্তায় বিমান টিকিটও দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশি রোগীদের চীনে চিকিৎসা সেবা আরও সহজ করার জন্য, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস চিকিৎসা ভিসা আবেদন ও ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ফেব্রুয়ারি মাসে চীন সফরকালে তার চীনা প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

সূত্রঃ বাসস।

Scroll to Top